সংগঠনের নিয়ম-শৃংখলাঃ
অনুচ্ছেদ ১২
ক) কমিটি যদি ক্লাবের ভিতরে অথবা বাইওে কোনো সদস্যের আচরণে মনে করেন যে, তার সদস্য থাকা বাঞ্জনীয় নয়, তাহলে তাকে বহিস্কার করা যেতে পারে, অথবা পদত্যাগের অনুরোধ করা যেতে পারে। অথবা বিষয়টি বিবেচনার জন্য আহুত বিশেষ বৈঠকে কমিটির নি¤œ নির্ধারিত বিধান অনুযায়ী ভিন্ন ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। কমিটির এ ধরনের বিশেষ বৈঠকে কোরামের জন্য দুইতৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতিতে অথবা লিখিতভাবে পেশ করা ন্যায়সঙ্গত সুযোগ দিতে হবে। কমিটির এ ধরনের বৈঠক অনুষ্ঠান সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সদস্যকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে অবহিত করতে হবে।
খ) এ রূপ বিশেষ বৈঠকে কোনো সদস্যের বহিস্কার প্রস্তাব বা পদত্যাগ সম্পর্কিত কোনো প্রস্তাব উপস্থিত সদস্যদের দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে গৃহীত হতে হবে।
গ) এ রূপ প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পর থেকে ক্লাবের পরবর্তী সাধারণ সভায় এই প্রস্তাব অনুমোদিত না হওয়া কিংবা অন্য কোনো সিদ্ধান্ত না নেয়া পর্যন্ত সদস্য সাময়িকভাবে বরখাস্ত বলে বিবেচিত হবেন।
ঘ) উল্লিখিত ক এবং খ ধারায় বর্ণিত পদ্ধতি সাপেক্ষে নির্বাহী কমিটি দোষী সদস্যকে অনধিক তিন মাসের জন্য সাময়িকভাবে বরখাস্ত করতে পারবেন।
ঙ) ঐ সদস্যে বিরুদ্ধে অনুরূপ ব্যবস্থা নেয়ার সাথে সাথে তিনি ক্লাব সদস্যদের প্রাপ্য সুযোগ সুবিধা ও অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন।
অনুচ্ছে ১৩
ক্লাবের সমগ্র ক্ষমতা নির্বাহী কমিটির ওপর ন্যস্ত থাকবে, এই কমিটি একজন সভাপতি, একজন সিনিয়র সহসভাপতি, পাঁচজন সহ সভাপতি, একজন সাধারণ সম্পাদক, পাঁচজন যুগ্ম সম্পাদক, পাঁচজন সাংগঠনিক সম্পাদক, একজন কোষাধ্যক্ষ, একজন প্রচার সম্পাদক, একজন তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক, একজন মহিলা সম্পাদক, একজন আন্তর্জাতিক সম্পাদক এবং পাঁচজন সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত হবে। কমিটির কর্মকর্তাবৃন্দ এবং সদস্যদের সকলকেই ক্লাবের স্থায়ী সদস্য হতে হবে। প্রয়োজন হলে সর্বোচ্চ দু”জন সদস্য সংযোজন বা কো-অপ্ট করার ক্ষমতা কমিটির থাকবে। যুগ্ম সম্পাদকদের মধ্যে সিনিয়ারিটি নির্ধারিত হবে প্রাপ্ত ভোটের ভিত্তিতে।
ক) ক্লাবের স্থায়ী সদস্যরা দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভায় তাদের মাঝ থেকে কর্মকর্তা, সদস্য নির্বাচিত করবেন। সভাপতি, সিনিয়ার সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, প্রথম যুগ্ম সম্পাদক একই পদে পর পর দু”বারের বেশী নির্বাচিত হবেন না।
খ) কর্মকর্তাদের এবং কমিটির সদস্যদের কার্যকলাপের মধ্যে কোনো পদ শূন্য হলে সেই পদ নি¤œলিখিত পদ্ধতিতে পূরণ করা হবেঃ
১) পদত্যাগ, অসুস্থতা, মৃতু অথবা অন্য কোনো কারণে যদি সভাপতির পদ শূন্য হয় এবং উক্ত শূন্যতার সময় যদি এক বছরের কম হয় তাহলে নির্বাহী কমিটির অবশিষ্ট কার্যকালের জন্য সিনিয়র সহসভাপতি সভাপতি হিসেবে কাজ করবেন।
২) কিন্তু সভাপতির পদটি যদি এক বছর কিংবা তারও বেশি সময়ের জন্য শূন্য থাকে তাহলে উক্ত পদ শূন্য হওয়ার দিন থেকে ত্রিশ দিনের মধ্যে স্থায়ী সদস্যরা ব্যালটের মাধ্যমে ক্লাবের নতুন সভাপতি নির্বাচিত করবেন।
৩) অন্তর্বর্তীকালের জন্য সিনিয়র সহসভাপতি সভাপতিরূপে কাজ করবেন।
৪) সাধারণ সম্পাদকের পদ শূন্য হওয়ার ক্ষেত্রেও ১,২ ও ৩ উপধারায় বর্ণিত একই কার্যপদ্ধতি অনুসরণ করা হবে।
৫) অন্যান্য কর্মকর্তা ও নির্বাহী কমিটির সদস্যদের মধ্যে কোনো পদ শূন্য হলে কমিটি সেই শূন্য পদটি সংযোজন বা কো-অপশনের দ্বারা পূরণ করতে পারবেন।
গ) নির্বাহী কমিটি কর্তৃক প্রণীত বিধি মোতাবেক একটি নিুর্বাচন কমিটি ক্লাবের কর্মকর্তা, নির্বাহী কমিটির সদস্যদের নির্বাচন পরিচালনা করবেন।
ঘ) নিন্, লিখিত পদ্ধতি অনুসারে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবেঃ
১) প্রস্তাবক ও সমর্থনকারীর নামসহ কমিটিতে কাজ করতে ইচ্ছুক কর্মকর্তা ও সদস্য পদে নির্বাচন প্রার্থী, তার প্রস্তাবক, সমর্থক এবং মনোনয়নে সম্মতিদানকারী দু”জনের নাম এই উদ্দেশ্যে তৈরি মনোনয়নপত্রে লিপিবদ্ধ থাকবে।
২) প্রত্যেক প্রার্থী মনোরয়নপত্রে লিখিতভাবে অথবা পত্র দ্বারা সাধারণ সম্পাদকের বরাবরে মনোনয়নে তার সম্মতির কথা জানাবেন।
৩) নির্বাচন কর্মসূচী ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে নতুন সদস্য সংগ্রহ বন্ধ হবে।
৪) নির্বাচন অনুষ্ঠানের পনর দিন আগে ক্লাবের সাধারণ সম্পাদকত গ্রæপে ভোটারদের তালিকা প্রকাশ করবেন।
৫) মনোনয়নের পূর্ববর্তী মাসে সকল বাকি চাঁদা এবং অন্যান্য বকেয়া পরিশোধ করা না থাকলে কোনো প্রার্থীই কমিটির সদস্য হিসেবে মনোয়ন লাভের যোগ্য হতে পারবেন না।
ঙ) দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের চৌদ্দ দিন আগে (রোববারসহ) ৃইইউ টাইম রাত দশটায় মনোনয়ন পত্র গ্রহণ শেষ হবে। দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভা অনষ্ঠিত হওয়ার সাতদিন আগে চেয়ারম্যান, নির্বাচন পরিচালনা কমিটি বরাবরে একটি লিখিত বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কোনো প্রার্থী তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন।
চ) (১) মনোয়নপত্র প্রত্যাহারের তিনদিন আগে মনোনয়নপত্রের যথাযথ বাছাইয়ের পর প্রার্থীদের নাম গ্রুপে দেয়া হবে।
২) দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার ছয়দিন আগে প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা ঘোষণা করা হবে এবং গ্রুপে দেয়া হবে।
ছ) ক্লাবে মনোনয়নপত্র গ্রহণের সময় গ্রহণকারী সদস্য এই উদ্দেশ্যে রাখা প্রতিটি দেশে একটি খাতায় তার নাম সই করবেন। অথবা সাধারণ সম্পাদকের মেসেঞ্জারে পাঠাবেন।
জ) প্রতিদ্ববন্ধকতা ক্ষেত্রে সকল নির্বাচনই গোপন ব্যালটের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে। ভোট সমসংখ্যক হলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের জন্য একই ভোট কক্ষে পুনরায় নতুন করে ব্যালট ভোটের ব্যবস্থা করা হবে। তৃতীয় বার এ ধরনের ব্যালট ভোটের প্রয়োজন হলে এবং সে ক্ষেত্রেও প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা সমান হলে প্রিজাইডিং অফিসার তার নির্ণায়ক ভোট ব্যবহারের মাধ্যমে নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণ করবেন।
ঝ) কর্মকর্তা অথবা নির্বাহী কমিটির সদস্য পদের জন্য প্রার্থীদের সংখ্যা গঠনতন্ত্রে বর্ণিত সংখ্যার সমান হলে দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভায় নির্বাচন পরিচালনা কমিটি সেই প্রার্থীদের বিনা প্রতিদ্বন্বিতায় নির্বাচিত বলে ঘোষণা করবেন। কোনো একটি কর্মকর্তা অথবা একটি সদস্য পদের জন্য প্রার্থীর সংখ্যা মাত্র দু”জন হলেও ব্যালটের মাধ্যমেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ঞ) সদস্যরা ব্যালটপত্র ইস্যুর সময় থেকে শুরু করে ভোট গ্রহণ সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত সাধারণ সভায় ভোট গণনার জন্য কতিপয় নিরীক্ষক নিয়োগ করা হবে এবং সভায় ভোট গণনার ফল ঘোষিত হবে। অনলাইনেও একই পদ্ধতি গ্রহণ করা হবে।
ট) কমিটির কোনো প্রার্থীকে দেয়া একটি ভোট বাতিল হলে কমিটির অন্যান্য প্রার্থীকে দেয়া ভোটের ক্ষেত্রে তা বাতিল বলে বিবেচিত হবে না। দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভায় নির্বাচন পরিচালনা কমিটি এই অনুচ্ছেদে বর্ণিত ব্যবস্থা সমাধানের সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্ণ অধিকার বলে গণ্য হবে।
ড) কমিটি এবং কর্মকর্তা তাদের উত্তরাধিকারী দায়িত্বভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত স্বীয় পদে বহাল থাকবেন।
ঢ) কমিটি যে কোনো সদস্য/কর্মকর্তা পদত্যাগ করতে চাইলে তাকে তার সিদ্ধান্তের কথা অন্তত পনের দিন আগে লিখিতভাবে নোটিশ দিয়ে জানাতে হবে। তবে নির্বাহী কমিটি তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করা পর্যন্ত তা কার্যকর হবে না।
ণ) কমিটির কোনো সদস্য কমিটির পর পর তিনটি নির্বাহী কমিটির বৈঠকে অনুপস্থিত থাকলে এবং তার এই অনুপস্থিতির যুক্তিসঙ্গত কারণ ছিল বলে প্রমাণিত না হলে কমিটিতে তার পদটি শূন্য বলে বিবেচিত হবে।
অনুচ্ছেদ ১৪
সাধারণ সভা
প্রতি দুই পঞ্জিকা বর্ষে অনুষ্ঠিত অন্যান্য সভা ছাড়াও দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভা নামে ক্লাবের একটি সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এই সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের বিজ্ঞপ্তিতে একে দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভা বলে উল্লেখ করতে হবে এবং দুই দ্বিবার্ষিক সভার মধ্যবর্তী সময়ের ব্যবধান কোনμমেই দুই পঞ্জিকা বর্ষের বেশী হবে না। কমিটির নির্ধারিত ও নির্দিষ্ট সময় ও স্থানেই দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবো পরিস্থিতি বিবেচনায় অনলাইনে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে। তবে এ সভা কমিটির কার্যকালে মেয়াদের শেষে ৩০ (ত্রিশ) জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে হবে। নবনির্বাচিত কর্মকর্তারা তাদের কার্যকালের নির্বাচনের পরের সপ্তাহে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভা ছাড়া সকল সাধারণ সভা অতিরিক্ত সাধারণ সভা বলে গণ্য হবে।
ক) কার্যকালের মেয়াদের মাঝামাঝি নাগাদ অন্ততঃ একটি অতিরিক্ত সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
খ) যে তারিখে দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে সেই দিন থেকে দু”বছর পূর্ণ হলে কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে বলে গণ্য হবে। ঐ তারিখের আগেই নির্বাহী কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে একটি পনের সদস্য বিশিষ্ট একটি আহŸায়ক কমিটি গঠিত হবে এবং তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করতে হবে। এ পর্যন্ত কারেকশন করা হয়েছে
অনুচ্ছেদ ১৫
ক) কমিটি উপযুক্ত মনে করলে অতিরিক্ত সাধারণ সভা ডাকতে পারেন অথবা মোট সদস্যের এক চতুর্থাংশের আবেদনμমে এক্সটা অর্ডিনারি সাধারণ সভা ডাকতে হবে।
খ) নির্বাহী কমিটির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব কেবল তদুদ্দেশ্যে আহুত সাধারণ সভায় তলবি সভার কার্যপদ্ধতির মতো একই কার্যপদ্ধতি অনুযায়ী আনা যেতে পারে। এই অনাস্থা প্রস্তাব কেবল সেই সাধারণ সভায় উত্থাপন করা যাবে, যেখানে ক্লাবের মোট সদস্য সংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য উপস্থিত থেকে ভোট দেবেন এবং সে ক্ষেত্রে অনাস্থা প্রস্তাব সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে কার্যকর হবে।
সাধারণ সভার বিজ্ঞপ্তি
অনুচ্ছেদ ১৬
অন্ততঃ ৫ দিন আগে লিখিত বিজ্ঞপ্তি দ্বারা দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভা আহŸান করা যেতে পারে, কিন্তু দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভা ছাড়া ক্লাবের অন্য কোনো সাধারণ সভা আহŸান করতে অন্তত দশ দিন আগে লিখিত বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে এবং যে তারিখে উক্ত সভার বিজ্ঞপ্তি সভা অনুষ্ঠানের স্থান, তারিখ ও সময়ের উল্লেখ থাকবে এবং সভা কোনো বিশেষ কার্যোপলক্ষে আহুত হলে সেই কাজের সাধারণ প্রকৃতি এ সম্পর্কে উল্লিখিত পদ্ধতিতে উল্লেখ করতে হবে, অথবা ক্লাব কর্তৃক সাধারণ সভায় নির্ধারিত অপর কোনো পদ্ধতির উল্লেখ থাকলে তা অডিটরদের এবং অনুচ্ছেদ বা ধারার অধীনে অন্যান্য যে সকল ব্যক্তি ক্লাবের কাছ থেকে এ ধরনের বিজ্ঞপ্তি পাওয়ার যোগ্য তাঁদের সকলকে ঐ একই পদ্ধতিতে বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে।
অনুচ্ছেদ ১৭
সভার বিজ্ঞপ্তি পাওয়ার অধিকারীকে দৈবাৎ ও ঘটনাμমে বিজ্ঞপ্তি দেয়া না হয়ে থাকলে অথবা সভার বিজ্ঞপ্তি পাওয়ার অধিকারী কোনো ব্যক্তি সভার বিজ্ঞপ্তি না পেয়ে থাকলে সেই কারণে সভার কার্যবিবরণী বাতিল বলে গণ্য হবে না।
সাধারণ সভার কার্যবিবরণী
অনুচ্ছেদ ১৮
সমুদয় হিসাব- নিকাশ স্থিতিপত্র বা ব্যালান্স-শীট, কমিটির রিপোর্ট ও অডিটর রিপোর্ট, কমিটির সদস্যদের নির্বাচন অথবা নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি এবং অডিটর নিয়োগ ও অডিটরদের পারিশ্রমিক নির্ধারণ ছাড়া অতিরিক্ত সাধারণ সভায় সম্পন্ন সব কাজ বিশেষ কাজ বলে গণ্য হবে।
অনুচ্ছেদ ১৯
কোন সাধারণ সভায় উপস্থিত সদস্যদের নিয়ে কোরাম না হলে সেই সাধারণ সভার কোন কাজ সম্পন্ন করা যাবে না।
ক) মোট স্থায়ী সদস্যদের শতকরা ২৫ ভাগ সদস্য নিয়ে কোরাম গঠিত হবে। কোন সদস্যের মাসিক চাঁদা তিন মাসের বেশি বাকি পড়লে অথবা ক্লাবের কাছে তার অন্যান্য বকেয়ার পরিমাণ বেশি হলে তিনি কোন সভায় উপস্থিত থাকতে পারবেন না অথবা কোরামে তার উপস্থিতি গণ্য করা হবে না অথবা তিনি ভোট দিতে পারবেন না।
অনুচ্ছেদ ২০
কোন সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার পর ৩০ মিনিটের মধ্যে কোরাম পূর্ণ না হলে এবং সাধারণ সভা যদি সদস্যদের আহূত হয় তাহলে সে সভা ভেঙে যাবে এবং অন্য সভা আরো ৩০ মিনিটের জন্য মুলতবি থাকবে এবং এ ধরনের মুলতবি সভায় প্রকৃত উপস্থিতির সদস্যরা কোরাম গঠন করবেন। তারপর সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে সিদ্ধান্ত নেবে যে, সেদিনের সভার কাজ শুরু করা হবে, না সভা সাত দিনের মধ্যে কোন এক তারিখ পর্যন্ত পুনরায় মুলতবি হয়ে যাবে।
অনুচ্ছেদ ২১
ক্লাবের সভাপতি প্রতিটি সভায় সভাপতিত্ব করবেন অবশ্য তিনি দ্বিবার্ষিক নির্বাচন পরিচালনা করবেন না। সভায় সভাপতি কিংবা সহ-সভাপতি উপস্থিত না থাকলে সভায় সদস্যদের মাঝখান থেকে একজনকে সভাপতি নির্বাচিত করবে। আরও শর্ত থাকে যে নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসার হবেন তার অপারগতায় নির্বাচন কমিটির কোনো সদস্য নির্বাচন পরিচালনা করবেন।
অনুচ্ছেদ ২২
সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত হাত তোলে নির্ধারিত হবে, যদি না ফলাফল ঘোষণার আগে অথবা সঙ্গে সঙ্গে পাঁচজন সদস্য ভোট নেয়ার দাবি তোলেন। অনুরূপভাবে যদি ভোট নেয়ার দাবি তোলেন তাহলে সভার সভাপতির নির্দেশ অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে ব্যালটের মাধ্যমে তা নেয়া হবে কিন্তু সভাপতি নির্বাচন, কিংবা সভা মুলতবি রাখার দাবি করা হলে সঙ্গে সঙ্গে ভোট গ্রহণ করতে হবে । ভোট গ্রহণ পদ্ধতি সভাপতির ইচ্ছাধীন নির্ধারিত হবে । কোনো প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে বা হয়নি অথবা কোনো বিশেষ সংখ্যাগরিষ্ঠতা হয়েছে এই মর্মে সভাপতির ঘোষণা ক্লাবের কার্যবিবরণীতে অন্তর্ভুক্ত হলে তা সাধারণ সভার সিদ্ধান্তের পর্যন্ত প্রমাণ বলে গণ্য হবে। অনলাইনে সভা হলে তা রেকর্ড রাখতে হবে।
অনুচ্ছেদ ২৩
অনুচ্ছেদ ও উপ বিধিসমূহে অন্য কোন বিধানে না থাকলে সভার সকল কার্যμম নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা সাধারণ সভায় সভাপতির থাকবে।
অনুচ্ছেদ ২৪
প্রত্যেক সদস্যই ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের বিজ্ঞপ্তি পাওয়া এবং সেই সভায় উপস্থিত থাকার অধিকারী। তবে এই অধিকার অনুচ্ছেদের ২০ (ক)এর বিধানাবলী সাপেক্ষে। সেই সভায়
ভোটদানের অধিকার কেবলমাত্র স্থায়ী সদস্যদেরই থাকবে। উল্লেখিত বিধান সাপেক্ষে ক্লাব সংক্রান্ত সব বিষয়ে প্রত্যেক সদস্য হাত তোলে ব্যালটে ভোট গ্রহণের ক্ষেত্রে একটি করে ভোট দিতে পারবেন।
অনুচ্ছেদ ২৫
সাধারণ সভায় উত্থাপিত কোন প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটিতে উভয় পক্ষের ভোট সংখ্যা সমান হলে সভাপতি তার সাধারণ ভোট ছাড়াও অতিরিক্ত একটি নির্ণায়ক ভোট দিতে পারবেন।
অনুচ্ছেদ ২৬
নির্বাহী কমিটির কার্যনির্বাহীর উদ্দেশ্যে বৈঠকে বসতে পারে, বৈঠক মুলতবি করতে পারে এবং তাদের বিবেচনা মত বৈঠক অন্যভাবে নিয়ন্ত্রিত করতে পারে ও কার্য নির্বাহীর জন্য প্রয়োজনীয় কোরাম নির্ধারণ করতে পারে। তবে এক্ষেত্রে অন্যভাবে স্থিরীকৃত না হয়ে থাকলে সাতজন সদস্য কোরাম গঠন করবেন। কমিটির কোনো সদস্য পদ শূন্য থাকা সত্তে¡ও আপাতত কমিটির সদস্যবৃন্দ তাদের কার্যনির্বাহী করতে পারবেন তবে সর্বদা এই শর্ত থাকে যে সদস্য সংখ্যা হ্রাস পেলে ২৫ কিংবা ২৫ এর কম হলে কমিটির অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী সদস্যবৃন্দ আপাতত তাদের সংস্থার শূন্যপদ পূরণের জন্য ব্যবস্থা নিতে পারবেন কিংবা তদুদ্দেশ্যে ক্লাবের সাধারণ সভা আহ্বান করতে পারবেন কিন্তু অপর কোনো উদ্দেশ্যে তা পারবেন না।
অনুচ্ছেদ ২৭
ক) সাধারণ সম্পাদক কমিটির সভাপতির পরামর্শμমে অথবা সম্মতিμমে কিংবা যে কোনো তিনজন সদস্যের দাবিতে যে কোনো সময় কমিটির এক বিশেষ বৈঠক আহ্বান করতে পারবেন। কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠানের জন্য অন্তত ২৪ ঘন্টার লিখিত বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে এবং উক্ত বৈঠকে প্রস্তাবিত কার্যনির্বাহী প্রকৃতি সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করতে হবে।
খ) কার্যনির্বাহীর সাধারন সম্পাদক বৈঠক আহ্বান করবেন।
অনুচ্ছেদ ২৮
কমিটি মাঝে মাঝে যে সাব-কমিটি নিয়োগ করে থাকে, সেই সাব কমিটিকে সে তার যে কোনো ক্ষমতা এবং কার্যাধীকার দিতে পারবে এবং সংগত মনে করলে কমিটির নিয়োগ বাতিল করতে পারবে। এভাবে গঠিত সাব কমিটির উপর মাঝে মাঝে কমিটি যেসব নিয়মকানুন আরোপ করবে সেসব নিয়ম কানুন অনুযায়ী সাব-কমিটি তার ক্ষমতা প্রয়োগ করবে।
অনুচ্ছেদ ২৯
ক্লাবের উপ বিধিসমূহ কমিটি কর্তৃক প্রণীত ও বলবৎ হবে এবং তা উপ বিধিসমূহ প্রণয়নে বিশেষভাবে গঠিত উপ কমিটির আহ্বায়ক কর্তৃক স্বাক্ষরিত হবে এবং উপবিধি সমূহের অনুলিপির
ক্লাবের গ্রুপে প্রত্যেক সদস্যকে তা দেয়া হয়েছে বলে ধরে নেয়া হবে তবে কোনো উপ বিধির বৈধতা প্রয়োগ এবং কার্যকারিতা থাকবেনা যদি তা পরিমেল বিধিতে কোন সংযোজন বা পরিবর্তনের শামিল হয়। কেননা এরূপ সংযোজন ও পরিবর্তন অনিবার্য ভাবে করা যেতে পারে একমাত্র সাধারণ সভাতেই।
অনচ্ছেদ ৩০
ক্লাবের উপবিধি সমূহের সর্বপ্রকার বৈধ রহিত করণ সংশোধন পরিবর্তন অথবা সংযোজন ক্লাবের গ্রুপে দেয়া হবে এবং তারপর সদস্যদের দেখার জন্য ক্লাবের অফিসে রক্ষিত উপবিধি সমূহের সঙ্গেও রাখা হবে।
অনুচ্ছেদ ৩১
ক্লাবের একটি সাধারণ সিলমোহর থাকবে এবং কমিটি সেটি নিরাপদ হেফাজতে রাখার ব্যবস্থা করবেন এবং এই সিলমোহর কেবলমাত্র কমিটির পূর্ব অনুমতিμমে ও কমিটির দুজন সদস্যের অথবা ক্লাবের একজন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ব্যবহার করা যাবে। সদস্য দুজন অথবা ক্লাবের একজন কর্মকর্তা সীলমোহর মারা হয়েছে এমন প্রতিটি দলিল বা কাগজে স্বাক্ষর করবেন এবং প্রতিটি দলিলে বা কাগজপত্রে সম্পাদক অথবা কমিটির নিজস্ব কোন ব্যক্তির অনুস্বাক্ষর করবেন।
অনুচ্ছেদ ৩২
কোন সদস্যকে ব্যক্তিগতভাবে বিজ্ঞপ্তি দেয়া যেতে পারে অথবা সদস্যের লিপিবদ্ধ ঠিকানায় ডাকমাশুল আগাম দেয়া পত্রে ডাকযোগে পাঠানো যেতে পারে। হিসাব নিকাশ
অনুচ্ছেদ ৩৩
ক) নির্বাহী কমিটি ক্লাবের প্রাপ্ত ও ব্যয়কৃত সকল অর্থের প্রকৃত হিসাব রাখার ব্যবস্থা নেবে এবং যেসব বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে এ ধরনের প্রাপ্তি ও ব্যয় ঘটেছে এবং তার বা সম্পত্তির পরিমাণ এবং দায়দায়িত্ব ও মালামাল μয় বিμয় সম্পন্ন করবে কমিটি তা বিস্তারিত বিবরণ রাখবে। ক্লাবের যে বইয়ে হিসাব-নিকাশ সঠিকভাবে রাখা প্রয়োজন সেই বইয়ে ক্লাবের হিসাব-নিকাশ সঠিকভাবে রাখা না হলে এবং তাতে ক্লাবের একটি প্রকৃত চিত্র এবং তার ব্যাখ্যাসহ পূর্ণ বিবরণ না থাকলে প্রকৃত হিসাব রাখা হয়েছে বলে গণ্য করা হবে না।
খ) ক্লাবের সকল আয় ব্যয়ের হিসাব রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কোষাধ্যক্ষের থাকবে। যে দেশে ক্লাবের ঠিকানা থাকবে, সে দেশের যেসব ব্যাংকের স্থায়ী অফিস আছে সেসব ব্যাংকে ক্লাব তার
চলতি হিসাব রাখবে এবং কোন ব্যাংকে ক্লাবের হিসাব রাখা হবে তা নির্ধারণ করবে নির্বাহী কমিটি। গ) উল্লেখিত চলতি হিসাব হবে ক্লাবের নামে এবং সকল চেকে সভাপতি অথবা সাধারণ সম্পাদক এবং কোষাধ্যক্ষ যুক্তভাবে স্বাক্ষর করবেন।
অনুচ্ছেদ ৩৪
ক) যে দেশে ক্লাবের ঠিকানা থাকবে সেই দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী উল্লেখিত ধারাসমূহে বর্ণিত আয়-ব্যয়ের হিসাব, ব্যালেন্স শীট এবং রিপোর্ট কমিটি মাঝে মাঝে তৈরি করবে এবং সেই হিসাব, ব্যালেন্স শিট ও রিপোর্ট ক্লাবের দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভায় পেশ করা হবে।
খ) ক্লাবের দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভায় অডিটরদের রিপোর্টসহ অডিটকৃত প্রতিটি ব্যালেন্স শীটের একটি করে কপি সদস্যদের দেয় হবে।
গ) অডিটরদের নিয়োগ করতে হবে এবং তাদের কাজ নিয়ন্ত্রিত হবে ঐ সব দেশের আইন অনুযায়ী
ঘ) দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভায় অর্থ বিবরণী বা ফিনান্সিয়াল স্টেটমেন্ট নিরীক্ষিত ও অনুমোদিত হলে এবং অনুমোদনের ছয় মাসের মধ্যে তাতে কোন ভুল ত্রæটি ধরা না পড়লে তা চূড়ান্ত বলে গণ্য করা হবে। উল্লিখিত সময়ের মধ্যে অর্থ বিবরণীতে কোন ত্রæটি বিচ্যুতি ধরা পড়লে সঙ্গে সঙ্গে তার সংশোধন করা হবে এবং তারপর সেটি চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
বিলুপ্তি করন
অনুচ্ছেদ ৩৫
ক্লাবের বিলুপ্তি করন বা ভেঙে দেয়ার ব্যাপারে এই গঠনতন্ত্রের ধারা অনুযায়ী ঐ সব অনুচ্ছেদ পুনরায় একই ভাবে উল্লিখিত হয়েছে বলে বিবেচিত এবং তা কার্যকর ও অনুসৃত হবে।
গঠনতন্ত্র সংশোধন অনুচ্ছেদ ৩৬
ক) গঠনতন্ত্রের কোন পরিবর্তন করতে হলে দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের এক মাস আগে প্রস্তাবিত সংশোধনী প্রচারের পর তা করতে হবে। গঠনতন্ত্রে সংশোধনী আনার জন্য ক্লাবের দুইতৃতীয়াংশ সদস্য তলবি অতিরিক্ত সাধারণ সভা আহবান করতে পারবেন।
খ) এরূপ সংশোধনীর প্রস্তাব ক্লাবের মোট সদস্য সংখ্যার শতকরা ৫৫ ভাগ অথবা ক্লাবের সাধারণ সভায় উপস্থিত ভোটদানকারী সংখ্যাগরিষ্ঠতায় গৃহীত হবে।